সহজেই ডট কম https://shohozeii.blogspot.com/2021/11/nid-registration.html

অনলাইনে ঘরে বসে নতুন ভোটার হওয়ার সহজ নিয়ম-২০২২। Nid Registration

New Nid Card:ঘরে বসে নতুন ভোটার হওয়ার সহজ নিয়ম (Nid Registration) - এখন বর্তমানে বাংলাদেশ ভোটার আইডি কার্ড(NID) করা এবং কার্ডের সংশোধন করা সোনার হরিণ হাতে পাওয়া কাজের মতই হয়ে পড়েছে ,কারণ এই কাজগুলি করতে এখন অনেক ধরনের ঝামেলা আমাদের পোহাতে হচ্ছে


    এটা শুধুমাত্র আমার কথা নয়, পূর্বে যারা এই ধরনের ভোটার আইডি কার্ড টি সংগ্রহ করেছেন তারাও বলবে যে ,এখন 2022 সালে এনআইডি কার্ড অথবা ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করা বা সংশোধন করা কতটা ঝামেলা এবং সময়ের বিষয়

    আপনারা আরও খোঁজ নিয়ে দেখবেন যে, অনেকে এই ভোটার আইডি কার্ড করা বা সংশোধন করার জন্য অনেকেই দালালের খপ্পরে পড়ে অর্থ সময় সবকিছুই নষ্ট করেছে

    অনলাইনে ঘরে বসে নতুন ভোটার হওয়ার সহজ নিয়ম-২০২২। Nid Registration

    অনলাইনে ঘরে বসে নতুন ভোটার হওয়ার সহজ নিয়ম-২০২২। Nid Registration


    2021 এবং 2022 সালে অনলাইনে ভোটার আইডির আবেদন করা যায় না অথবা ঝামেলা পোহাতে হয়, সে বিষয়েটি মনে হলেই নিজেকে খুব অবাক মনে হয় যেখানে 2021 সালেই অনলাইনের মাধ্যমে সবকিছু করা ঘরে বসেই সম্ভব হচ্ছে -ডাক্তারি -ব্যবসা-বাণিজ্য -অফিস সহকারে সবকিছুই এখন অনলাইনে করা সম্ভব

    তাই আজকে আমি আপনাদেরকে দেখাবো -কিভাবে আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করবেন (How to Apply Online NID Card) ।চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক………

    অন্য পোস্ট:সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর শাখা সমূহ।

    অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি দরকার?Bangladesh Nid Card Online

    1.আপনার বয়স প্রমাণ সনদের জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার একটি সার্টিফিকেট সেটি হতে পারে আপনার এসএসসি সার্টিফিকেট

    2.বয়স প্রমাণের জন্য আপনার জন্ম সনদের সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়ে থাকে আপনি অনলাইনে কিভাবে জন্ম সনদ করবেন সেটি আমাদের ব্লগ সাইটে পোস্ট করা আছে সেখান থেকে দেখে নিয়ে আপনি খুব সহজে ঘরে বসে অনলাইনে জন্ম সনদের সার্টিফিকেট পেতে পারেন

    3.আপনার যদি "পাসপোর্ট "ডাইভিং লাইসেন্স "টিআইএন "সার্টিফিকেট এগুলো থেকে থাকে এগুলো আপনার বয়স প্রমাণ সনদের কাগজ হিসাবে প্রয়োজন পড়ে থাকবে

    4.আপনার বর্তমান ঠিকানা যাচাই করার জন্য আপনি যে বাসায় ভাড়া আছেন সেই বাসার "হোল্ডিং নাম্বার" সেই বাসার কারেন্ট বিলের" কাগজ অথবা সেই বাসার গ্যাস "বিলের কাগজ প্রয়োজন হবে

    5.আপনার নাগরিকতার সার্টিফিকেট কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়ে থাকবে কারণ আপনি দেশের নাগরিক কিনা সে সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে তারা যাচাই করবে এই নাগরিকতার সার্টিফিকেট আপনি আপনার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে খুব সহজেই ব্যবস্থা করে নিয়ে রাখতে পারেন

    6.প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাবা-মা স্বামী-স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন হতে পারে

    রেজিস্ট্রেশন করার পূর্বে এই বিষয়গুলি অবশ্যই আপনি জেনে রাখুন-Nid Card Information

    18 বছরের অধিক প্রবাসী বা বাদ পড়া শুধু এখানে আবেদন করতে পারবেন আপনি যদি এর আগে নিবন্ধন বা ভোটার হয়ে থাকেন,তাহলে কখনই এই আবেদন করবেন না কারণ আপনি অলরেডি বাংলাদেশের একজন নাগরিক এবং আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড রয়েছে এই কাজ করলে সরকারি আইনে  আপনি অপরাধের সম্মুখীন হতে পারেন

    অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার সময় নিজের পূর্ণ নাম ছাড়া সকল তথ্য বাংলায় উনিক করে ব্যবহার করতে হবে

    নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম Nid Card Registration

    ধাপ-1: এই লিংক থেকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের আপনি প্রবেশ করুন

    ধাপ-2: এরপরে আপনি দেখতে পাবেন( Full Name) একটি কলাম আসবে সেখানে ইংলিশে ( English )আপনার ফুল নামটি ফিলাপ করুন

    ধাপ-3: এখন আপনার ডেট অফ বার্থ ফিল্ডে আপনার ডেট অফ বার্থ (Date of birth)টি সঠিক ভাবে এন্ট্রি দিন

    ধাপ-4: এরপরে একটি ক্যাপচা উইন্ডো আসবে সেই ক্যাপচাটি আপনি ফাঁকা স্থানে ফিলাপ করে কন্টিনুয়ে (continue) বাটনে ক্লিক করুন

    ধাপ-5: এরপরে আপনি মোবাইল ভেরিফিকেশন একটি ফিল্ড পাবেন সেখানে আপনি আপনার মোবাইল নাম্বার প্রবেশ করুন তবে হ্যাঁ অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন মোবাইল নাম্বারটি সচল এবং আপনার হতে হবে কারণ এই মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে এখনই ওটিপি (OTP)ভেরিফিকেশন করা হবে

    ধাপ-6: মোবাইল নাম্বার ইনপুটের ঘরে মোবাইল নাম্বারটি প্রবেশ করান এবং continue- ক্লিক করুন এরপরে আপনার নির্দিষ্ট মোবাইল ফোনটিতে একটি ওটিপি কোড(OTP) চলে যাবে, ওটিপি (OTP)কোড এর জায়গায় বসিয়ে কন্টিনিউ(continue) বাটনে ক্লিক করুন

    ধাপ-7: এরপরে আপনার সামনে ইউজারনেম (user Name) এবং পাসওয়ার্ড (Password)চাইবে এমন একটি ফিল্ড আসবে আপনি আপনার একটি ইউজার নেম দিয়ে দিন এবং শক্তিশালী একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে দিন এরপর কন্টিনুয়ে (continue)বাটনে প্রেস করুন তারপরেও যদি আপনার ইউজারনেমটি অলরেডি এক্সিট লেখা দেখায় তাহলে আপনি পুনরায় অন্য একটি ইউজার নেম দিয়ে আপনার কাজটি সম্পূর্ণভাবে ফিলাপ করুন

    ধাপ-8: আপনার যদি সবকিছু উপরের নিয়মে সঠিকভাবে তৈরি হয়ে থাকে, তাহলে সফল ভাবে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেছে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে এই অ্যাকাউন্ট থেকে আপনি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন এখন আপনার এই একাউন্টের ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইটটিতে লগইন করুন

     

    অনলাইনে নতুন ভোটার আইডির তথ্য পূরণ: Nid Data Element

    ধাপ-1:আপনার প্রোফাইল থেকে এডিট (Edit Profile) অপশনে গিয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো পূরণ করুন

    ধাপ-2:"ব্যক্তিগত তথ্য" - "অন্যান্য তথ্য" - "ঠিকানা" নামে তিনটি ট্যাব রয়েছে  আপনি এই তিনটি ধাপে আইডি কার্ড নিবন্ধন করতে পারেন

    ধাপ-2:এখন একের পর এক সব তথ্য পূরণ করে "অন্যান্য তথ্য" ট্যাবে ক্লিক করে "ঠিকানা "ট্যাবটিতে আবার ক্লিক করে সকল তথ্য ফিলাপ করে দিন

    ধাপ-3:এরপরে উপরের দিকে" পরবর্তী" বাটনটিতে ক্লিক করলে আপনার সব ধরনের রিকুয়ারমেন্ট (Requirements Documents)কাগজ পত্র গুলো আপলোড করার অপশন পাবেনসেখান থেকে আমাদের উপরের দেওয়া রিকোয়ারমেন্টস ডকুমেন্টস গুলো আপনি আপলোড করে দিন আপনার ডকুমেন্টস গুলো রেজিস্ট্রেশন করার আগেই আপনি কম্পিউটারে কপি করে স্ক্যান করে রেখে দিনতবে ক্ষেত্র বিশেষে কাগজপত্রের প্রয়োজনের ভিন্নতা প্রয়োজন হতে পারে

    ধাপ-3: এখন সবকিছু ঠিক থাকলে আপনার শেষ ধাপ হিসেবে ,আপনি পুনরায় সবকিছু আবার সঠিকভাবে চেক করুন কারণ আপনার এই তথ্যটি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য হিসাবে বিবেচিত হবে এই জন্য কোনো তথ্য ভুল অথবা মিথ্যা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না

    ধাপ-3: এর পরে আপনি সবকিছু কমপ্লিট হয়ে গেলে ডাউনলোড অপশন থেকে আপনার সকল তথ্য গুলো ডাউনলোড করে রেখে দিতে পারেন পরবর্তীতে প্রয়োজন হবে

     

    অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার ভেরিফিকেশন ধাপ: Nid Verify Bd

    ধাপ-1:আপনি আপনার নিকটস্থ জেলা উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে আপনার আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা দিন

    ধাপ-2:এরপরে আপনার সমস্ত তথ্য তারা ভেরিফিকেশন করে আপনাকে জানিয়ে দিবে আপনার কার্ডটি আপনি কিভাবে, কোথায়, কবে, আপনি উত্তোলন করতে পারবেন অথবা পেয়ে যাবেন

     

    ভোটার আইডি চেক করার নিয়ম: Online Nid Card Download

    আপনার ভোটার আইডি কার্ড ইতিপূর্বে রেজিস্টার হয়েছে কিনা বা কোন পর্যায়ে আছে এটি দেখার জন্য আমাদের দেওয়া এই লিংকে ক্লিক করে আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বার অথবা আপনার এনআইডি কার্ডের স্লিপ নাম্বার দিয়ে দেখতে পারেন সব সময় ঘরে বসে

    অন্য পোস্ট:Blogging A TO Z।শুধুমাত্র নতুন ব্লগারদের জন্য।

    জাতীয় পরিচয় পত্রের চার্জ হিসাব করুন

    জাতীয় পরিচয় পত্র নবায়নের জন্য আপনাকে ৩০ কার্যদিবসের জন্য ১০০ টাকা এবং ৭কার্যদিবসের জন্য ১৫০ টাকা প্রদান করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে

    হারানো অথবা নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য আপনার এনআইডি কার্ড উত্তোলনের জন্য প্রথমবারে আপনাকে চার্জ গুনতে হবে 200 টাকা দ্বিতীয়বার আবেদনের জন্য জানতে হবে 300 টাকা এবং তৃতীয়বার কার্ড উত্তোলনের জন্য আবেদনের জন্য খরচ গুনতে হবে 500 টাকা

    জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রথমবার আবেদনের জন্য 200 টাকা দ্বিতীয়বার আবেদনের জন্য 300 টাকা এবং পরবর্তীতে যতবারই আবেদন করেন 400 টাকা আপনাকে চার্জ দিতে হবে

    ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য উপাত্ত সংশোধনের জন্য প্রথমবারে 100 টাকা দ্বিতীয়বার আবেদনের জন্য 200 এবং তৃতীয় বার থেকে 300 টাকা আপনাকে চার্জ দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে

     

    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ ঠিকানা এবং হেল্পলাইন নাম্বার:

    -মেইলঃ info@nidw.gov.bd

    হেল্পলাইনঃ ১০৫, +৮৮ ০১৭০৮-৫০১২৬১

    যোগাযোগের সময়ঃ রবিবার-বৃহস্পতিবার, সকাল :০০টা - বিকাল :০০টা পর্যন্ত

    আশা করছি আমি আপনাদেরকে বুঝাতে পেরেছি যে, কিভাবে আপনারা নতুন ভোটার আইডি কার্ড পাবেন অনলাইনে আবেদন করে এর পরেও যদি আপনার অনলাইনে আবেদন করতে অথবা বুঝতে কোন সমস্যা হয়, তাহলে আমাদের দেওয়া এই পোষ্টের নিচে আপনি কমেন্টস করুন আমরা খুব দ্রুত লাইভ চ্যাটে এসে আপনার সমস্যাটির সমাধান করে দিব ইনশাল্লাহ

     

     

     

     

    অন্যদের সাথে শেয়ার করুন:

    0 টি মন্তব্য

    দয়া করে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন ??

    সহজেই ডট কম কী?